আউটার স্টেডিয়ামে সৌন্দর্যবধন ও মুক্তমঞ্চ তৈরীর কাজ পরিদর্শনকালে মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ভূ-প্রাকৃতিকগত বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ঠ্যগুনেই চট্টগ্রাম নগরী প্রাচ্যের রানী। পাহাড়-নদী-সমুদ্র ও সমতল মিলিয়ে এমন রূপ আগে কোথাও সচারচর দেখা যেত না। অথচ এখন ভিন্নরূপ। কিছু অপরিনামদর্শী অমানুষের হাতেই আমাদের প্রচ্যের রানীর সৌন্দর্য্য লুন্ঠিত হয়েছে। দুর্বৃত্তরা পাহাড়,নদী,খাল গোগ্রাসে গিলে খেয়ে এই নগরীকে হতশ্রী করেছে। যারা এসব অপকর্ম করেছে তাদেরকে চিনি অনেকের ভূমিকা রক্ষক হয়ে ভক্ষকের মতই। তাই আমার স্বপ্ন ছিলো সুযোগ পেলেই প্রাচ্যের রানী চট্টগ্রামের হৃত সৌন্দর্য পুনরুদ্দার করবো। তিনি আরো বলেন, যখন মেয়র পদে দায়িত্ব গ্রহণ করি তখনই আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন শুরু। এই চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ নগরীতে পরিণত করে সৌন্দর্য্য বর্ধনই আমার প্রধান ব্রত হয়ে দাড়ালো। কিন্তু কাজটা অত সহজ ছিলো না, পদে পদে বাঁধা এবং সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে প্রাচ্যের রানীর যে-টুকু সৌন্দর্য ফিরে এসেছে তাতেও আমি পরিতৃপ্ত নই। সৌন্দর্য বর্ধনের বেশ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে, অনেকগুলো বাস্তবায়নের পথে। বলতে দ্বিধা নেই,এই নগরী তিলোত্তমা হবে-এটা শুধু স্বপ্ন নয়,বাস্তব ধরা দেবে। তবে এর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন চট্টগ্রামের উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারী,আধাসরকারী,স্বায়ত্বশাসিত সংস্থাও কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ। আজ দুপুরে আউটার স্টেডিয়ামে সার্কিট হাউস থেকে নেভাল এভিনিউ পর্যন্ত সৌন্দর্যবধন ও মুক্তমঞ্চ তৈরীর কাজ পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
তিনি চট্টগ্রামের সৌন্দর্যবর্ধনে চসিকের পদক্ষেপ ও কর্মপন্থাগুলো তুলে ধরে বলেন, যে-সকল ফুটপাত ও খালি জায়গাগুলো আবর্জনার ভাগাড় ছিলে সেগুলোকে পরিচ্ছন্ন করে সবুজায়নের কাজের সিংহভাগই শেষ হয়েছে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কের দুপাশ ও আইল্যান্ড রকমারী বৃক্ষরাজিতে শোভিত করা হয়েছে। দেয়ালে শিল্পিত ছোঁয়ায় ম্যুরাল প্রকৃতি,বিপ্লব-দ্রোহের খন্ড খন্ড চিত্র এবং কৃতি বাঙালির প্রতিকৃতি নগরবাসী আকর্ষনের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সার্কিট হাউজ থেকে নেভাল এভিনিউ,এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম ও আউটার স্টেডিয়াম জুড়ে ফুটপাতকে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে ও একটি মুক্তমঞ্চ নির্মানের কাজ আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া এই বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম নগরীর সকল ওয়ার্ডে ৫০ লাখ ফলদ,বনজ ও ঔষধী বৃক্ষের চারা রোপন করা হবে। তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, পরিবেশগত ভারসাম্য ও ঘরে বাইরে পরিচ্ছন্নতা,সবুজায়ন,পরিবেশগত ভারসাম্য ও সজীব রাখে এবং রোগ বালাই-মুছিবতের আশঙ্খা দূর করে। করোনাকালে এই উপলব্ধি বিশেষভাবে প্রনিধান যোগ্য। আর জনসচেতনতাই ঝুঁকিমুক্ত জীবন ধারার প্রধান উপজীব্য বোধশক্তি। পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,প্রকৌশলী,পরিবেশবিদসহ অন্যান্যদের মধ্যে বেলাল আহমেদ, মামুনুর রশীদ মামুন, আনিসুর রহমান, মোশাররফ হোসেন লিটন, খায়রুল আব্বাস চৌধুরী, সুলতান,মঈন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

মুক্ত গণমাধ্যম চাই : সকল গণমাধ্যমে এক নীতিমালা, তথাকথিত ওয়েজ বোর্ড বাতিল, নিজস্ব বেতন বোর্ড, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য কমানো ও মফস্বলের পত্রিকাগুলো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে টিকিয়ে রাখতে হবে

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031