করোনার ভয়াবহ সংক্রমনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বান্দরবানে পশু হাটে ভিড় জমাচ্ছে সাধারণ মানুষ, আর এতে করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় অভিজ্ঞ মহল।
সকাল থেকে বান্দরবানের ৩নং ওয়ার্ডের কালাঘাটায় বসেছে কোরবানির পশুর হাট, আর হাটে সামাজিক দুরত্ব না মেনে ক্রেতা বিক্রেতারা ছুটে বেড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের নজরদারি ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষের সমাগম ঘটিয়ে পশু হাটের আয়োজন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সচেতন নাগরিকরা।
বান্দরবানের কালাঘাটা বাজারে গরু কিনতে আসা মো: জামাল উদ্দিন বলেন, বান্দরবানে গরু বিক্রির হাটে জমায়েত বেশি হচ্ছে, অনেকেই সামাজিক দুরত্ব না মেনেই মুখে মাক্স না দিয়ে চলাচল করছে। মো: জামাল আরো বলেন, বান্দরবানে করোনা রোগী দিন দিন বাড়ছে, কিন্তু অনেকেই করোনাকে ভয় না পেয়ে গরু বাজারে অযথা ঘোরাফেরা করছে।
গরু কিনতে আসতে মো: সোহেল বলেন, কোরবানের এই সময়ে আমাদের বান্দরবানে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় আশা রয়েছে, কেননা গরু বাজারে অনেকেই সামাজিক দুরত্ব মানছে না।
বান্দরবান উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে পশুর হাটে বসানো হয়েছে ফ্রি ভেটেনারি মেডিকেল ক্যাম্প, আর এই ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে এবং মোটাতাজাকৃত কোন গরু যাতে বাজারে বিক্রি করতে না পারে সেদিকে নজরদারি করছে। বান্দরবান সদর উপজেলা উপ-সহকারি প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো: সেলিম উদ্দিন বলেন, আমরা বান্দরবানে বিভিন্ন গরু বাজার পরিদর্শন করছি এবং কেউ যাতে অবৈধভাবে গরু মোটাতাজা করে কোন গরু বাজারে আনতে না পারে সেজন্য আমরা সজাগ রয়েছি।
এদিকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছে বান্দরবানে কোরবানি পশু বিক্রির হাটে প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে, মানুষের ভিড়ে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাচল করছে, তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বান্দরবানের প্রতিটা গরু বাজারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, পোষাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোষাকে পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে।