মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, খাগড়াছড়ি থেকে ॥ খাগড়াছড়ির গুইমারার আলোচিত ধর্ষণ মামলার আসামী শ্যাম প্রসাদ বণিককে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে গুইমারা থানা পুলিশ। বুধবার গভীর রাত ২টায় হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তবে এখনো অধরা নাবালিকা কণ্যা সন্তান ধর্ষণের প্রধান সহযোগি মা শাহেদা আক্তার।
জানা যায়, রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মোঃ ফরহাদের সহযোগিতা ও নির্দেশনায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুইমারা থানার ওসির সার্বিক সহযোগিতায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আল-আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বুধবার গভীর রাতে হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
আলোচিত এই ধর্ষণ মামলার আসামী শ্যাম প্রসাদ বণিক প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম বিদেশ থাকার সুবাদে তার স্ত্রীকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে তা জানাজানি হয়ে গেলে সে ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে নিজের মেয়েকে কথিত প্রেমিক শ্যাম প্রসাদ বণিককে ধর্ষণের সহায়তা করার অভিযোগ করেন ঐ মেয়ের পিতা। পরে গত ২৬ জুলাই শ্যাম প্রসাদ বণিককের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন জাহাঙ্গীর আলম। সংবাদটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারের পর আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। পর দিন খাগড়াছড়ি গুইমারা থানায় লিখিত অভিযোগ তদন্তের পর রূপ নেয় মামলায়।
সে মামলায় বুধবার শ্যাম প্রসাদ বণিককে হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে ৯ (১)২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। যার খাগড়াছড়ি গুইমারা থানার মামলা নং ০১ তারিখ ২৭ জুলাই। জিআর ২৪৭/২০২০।
আলোচিত ধর্ষণ মামলার আসামী ও গুইমারা ডাক্তারটিলা নিবাসী উচাইরী হত্যাকান্ডের মুল হোতা শ্যাম প্রসাদ বণিক আটকের পর স্বস্থি প্রকাশ করেছে গুইমারাবাসী। সে সাথে এসব ঘৃণ অপরাধে জড়িত থাকায় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায় সচেতন মহল । এবং উল্লেখিত মামলায় তদন্ত করে নির্দেশ ব্যাক্তিদের মামলা থেকে অব্যাহতির দাবী জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এছাড়াও স্থানীয়রা জনায়, শ্যাম প্রসাদ বণিক গুইমারা খাদ্যগুদাম ও ডাক্তার টিলা সংলগ্ন এলাকায় সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা রাস্তার পাশের নির্মাণ করা পাকা বাড়ীতে নিয়ে ধর্ষণসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকতো। সে সাথে তার ডাক্তার টিলার এলাকায় ছিল তার অপকর্মের অস্তানা।
এসব বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত করা হলে “মাদক সেবন থেকে শুরু করে নারী ধর্ষণসহ তার সীমাহীন অপকর্মের তথ্য বের হয়ে আসবে বলে অভিমত স্থানীয়দের। এ ধরনের ঘৃণ অপরাধীর সঠিক বিচার না হলে সামাজিক অবক্ষণ ও অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধিসহ অপরাধীরা উৎসাহিত হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আল-আমিন জানান, আটক শ্যাম প্রসাদ বণিককে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত ও আইনি পক্রিয়ায় বিচারীক আদালত তার শান্তি নিশ্চিত করবেন।