চট্টগ্রামে রাস্তাতেই নষ্ট হয়েছে ২২ হাজার চামড়া

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও জামেয়া আহম্মদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা থেকে ১৮ হাজারের মতো নষ্ট চামড়া ময়লার ডিপোতে ডাম্পিং করা হয়েছে। এর আগে শনিবার (১ আগস্ট) রাত থেকে রোববার (২ আগস্ট) মহানগরীর মুরাদপুর, আতুরার ডিপোসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চামড়া বিক্রেতাদের সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে দেখা যায়। চট্টগ্রামের রাউজান থেকে গরুর চামড়া সংগ্রহকারী মৌসুমি ব্যবসায়ী রাসেল জানান, তিনি বিভিন্ন গ্রাম থেকে শনিবার ২০০ চামড়া কিনেছেন। সন্ধ্যার পর এসব চামড়া নিয়ে নগরীর মুরাদপুর আতুরার ডিপুরে আড়তে এলে কেউ তা কেনেনি। গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষার পর ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে কেনা চামড়া ৫০ টাকা করে বিক্রি করতে চাইলেও কেউ নেয়নি। এদিকে চট্টগ্রামের চামড়া আড়তদার সমিতির সূত্র জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যার পর পর তারা কিছু চামড়া কিনেছেন। পরে অনেক মৌসুমি চামড়া বিক্রেতা বেশি দাম চাওয়ায় তারা চামড়া সংগ্রহ করেনি। রোববার সবাই কম দামে চামড়া দিতে চাইলেও দীর্ঘ সময় লবণ ছাড়া থাকায় এসব চামড়ার মান নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এসব চামড়া তারা আর কেনেননি। চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির সভাপতি আবদুল কাদের জানান, এই বছর প্রায় ৪ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চামড়া সংগ্রহ করা যায়নি। সমিতিভুক্ত ১১২ জন ও এর বাইরে ১৫০ জন আড়তদার এবার চট্টগ্রাম অঞ্চলে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করছেন। কিন্তু মৌসুমি চামড়া বিক্রেতাদের চাহিদা মতো চামড়া সংগ্রহ করা যায়নি। চট্টগ্রামে ট্যানারি না থাকায় ঢাকা ট্যানারি মালিকদের মন মর্জির ওপর তারা চামড়া সংগ্রহ করতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি জানান, প্রথম দিকে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা বেশি দাম চাওয়ায় কিনতে পারেননি তারা। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর নামমাত্র মূল্যে দিতে চাইলেও চামড়ার মান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা আর কেনেননি।

রাঙ্গামাটিতে আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর পূর্তিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান : একজন গুণি ব্যক্তিকে যথাযথ সম্মাননা জানানো সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য —মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান সবার দোয়া আর আল্লাহর অশেষ রহমত না হলে ৫৫ বছর পুরণ করতে পারতাম না—এ কে এম মকছুদ আহমেদ

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031