২০২১ সালে প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট : মোস্তাফা জব্বার মন্ত্রী

ঢাকা: আজকের বাংলাদেশে একটি ছোট শিশুও ইন্টারনেট দাবি করছে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২১ সালে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে। এ বছরের মধ্যেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৭ আগস্ট) ঢাকায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিটিসিএল আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ডিজিটালাইজেশনের আদর্শের পথ ধরে গত ১১ বছরে সূচিত ডিজিটাল বিপ্লবকে বিস্ময়কর উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০০৮ সালেও দেশে আট জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহার হতো এবং ব্যবহারকারী ছিল মাত্র আট লাখ। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় ডিজিটালাইজেশনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। দেশে আজ ১৭০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে এবং দেশে ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিনের সভাপতিত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু গবেষক কাজী সাজ্জাত আলী জহির বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহাজাহান মাহমুদ, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে সরাসরি বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত ছিলেন। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা হাজার বছরের পরাধীন বাঙালি জাতিকে কেবলমাত্র স্বাধীনতাই দেননি, তিনি যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও আইটিইউ, ইউপিইউ এবং বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশনে বীজ বপন করে গেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৬ বছরের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে সেই বীজ আজ বিশাল মহিরুহে রূপ নিচ্ছে। ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা কর্মসূচির রূপরেখা। এরই ধারাবাহিকতায় অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেও ২০২০ সালের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। করোনাকালেও গ্রামের মানুষটি পর্যন্ত উপলব্ধি করছে ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকলে বৈশ্বিক মহামারির এ ক্রান্তিলগ্নে মানুষের জীবনযাত্রা বিপন্ন হতো। মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিস্ময়কর নেতৃত্বের একজন মহামানব। এ ভূ-খণ্ডের গোটা জনগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্ব অন্ধের মতো অনুসরণ করেছে। তার নেতৃত্বের গুণাবলী বিশ্বের কোনো নেতা অর্জন করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকে যত বেশি অধ্যয়ন করা যাবে ততই তাকে বেশি করে জানা যাবে। একজন বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করলে মর্যাদাপূর্ণ উন্নত জীবন গঠনের জন্য আর কাউকে জীবনের হিরো হিসেবে অনুসরণ করার প্রয়োজন হবে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দু’টি অমূল্য রত্ন আমাদের জন্য রেখে গেছেন একটি স্বাধীনতা আর একটি হলো তার সুযোগ্য সন্তান। অনুষ্ঠানে বিটিসিএল আয়োজিত বঙ্গবন্ধু বিষয় রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031