॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী নিয়োগ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ মেনে নিবে না বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। তিনি বলেন, শান্তি চুক্তির আলোকে পাহাড়ের স্বাস্থ্য বিভাগকে জেলা পরিষদের অধীন ন্যস্ত হওয়ার কথা। কিন্তু কেন্দ্রীয়ভাবে স্বাস্থ্য বিভাগ প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিচ্ছে। যা চুক্তির সাথে সাংঘর্ষিক।
সোমবার (২৮সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি উন্নয়ন বোর্ডের কর্ণফুলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ট্রাইবাল হেলথ কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলা পর্যায়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসসব কথা বলেন।
চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে লোকবল সংকট রয়েছে। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সম্প্রতি চারজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের বেতন-ভাতা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে। দূর্গম বরকল, বিলাইছড়ি, জুরাছড়িতে চিকিৎসকদের যাতায়াতের সুবিধার্তে তিনটি স্পিডবোট প্রদান করা হবে। এইজন্য বোট কেনার টাকার ফান্ড প্রস্তুত আছে। করোনার জন্য রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে ৫০ বেডের হাইফ্লো অক্সিজেন কেনার জন্য টাকা মজুদ আছে। সিভিল সার্জন প্রয়োজন করলে টাকা ছাড় করতে পারেন বলেও জানান তিনি।
চেয়ারম্যান আরও জানান, ট্রাইবাল হেলথ কার্যক্রম চালাতে হলে দূর্গম এলাকাগুলোতে পৌঁছাতে হবে। রাঙ্গামাটিতে এমন কিছু ইউনিয়ন এবং গ্রাম আছে যেগুলো সীমান্তবর্তী এলাকা। যেখানে হেলিকপ্টার ছাড়া যাওয়া যায় না। সেইসব এলাকায় স্বাস্থ্য পৌঁছানো জরুরী বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।
চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, আমি উপস্থিত স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত মহা পরিচালক-কে অনুরোধ জানাবো, সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা আমাদের স্থানীয় সন্তান। তিনি এই এলাকার সবকিছু সম্পর্কে আলাদা জ্ঞান রাখে। তাই তার বদলি আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে স্ব-জেলায় স্ব-পদে বহাল রাখা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসার সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক ডা. মো. আবুল হাশেম খান, কমিউনিটি হেলথ কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর মহাদেব চন্দ্র রাজবংশী, রাঙ্গামাটি সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রীতি রঞ্জন বড়ুয়া, প্রকল্প পরিচালক ডা. শহীদ তালুকদার।
এদিকে প্রথম অধিবেশনের পর দ্বিতীয় অধিবেশনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির পরিচয়, তাদের জীবন-মান এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র উত্থাপন করা হয়। এরপরই স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হেডম্যান-কার্বারী, গণমাধ্যমকর্মীরা মূল আলোচনায় অংশ নেন।