॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটির দুর্গম প্রতিটি উপজেলার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ৫০ শয্যা হাসপাতাল স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটির সংসদ দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশে উপজেলাগুলোতে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালগুলোকে ৫০ শয্যায় উন্নতির পরিকল্পনা নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি জেলার দুর্গম বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা হতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের উদ্বোধন করতে গিয়ে দীপংকর তালুকদার এমপি একথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসার সভাপতিত্বে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, বিলাইছড়ি জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহামুদ পাশা পিএসসি, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী, প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মহসিন, সহকারি প্রকৌশলী মেহেদি হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেশমী চাকমা সহ অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটির সংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যেকটি সেক্টরের উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের সকল উন্নয়নের সুফল ভোগ করেও পাহাড়ের কিছু কুচক্রী মহল এইসব উন্নয়ন কাজে বাঁধাগ্রস্থ করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আজ অনেক ধরনের বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে সরকার পাহাড়ে উন্নত শিক্ষা গ্রহণ ও জনগনের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছেন। আর পার্বত্যবাসির প্রতি আন্তরিকতা আছে বলেই প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে প্রতিটি উপজেলায় হাসপাতালের শয্যা উন্নীতকরণের মাধ্যমে চিকিৎসকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সেবার মান বেড়েছে। সাধারণ মানুষ এখন সহজেই তাদের কাঙ্খিত সেবা ঘরের কাছেই পাচ্ছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, আমরা যদি আমাদের ছেলে মেয়েদের উন্নত শিক্ষা গ্রহন করে ভালো চিকিৎসক- কর্মকর্তা পদে অধিস্থিত করতে পারি তাহলে তারা এখানে থেকেই এই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের কল্যানে কাজ করতে পারবে। তাই এখন থেকেই তাদের সেভাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ১৬ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই হাসপাতালটি নির্মাণ করে।