॥ মিল্টন বাহাদুর ॥ খাদ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, রাঙ্গামাটি পর্যটন শহর। আর এখানে অনেক পর্যটক আসে আরামদায়ক ভ্রমনের জন্য। আর সেই জন্য আমরা চাইছি এবং আমাদের সাথে সাথে অনেকেই চাইছে রাউজানের ঢালাইমুখ এসে চার লেইন সড়ক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকে ৩০/৩২ কিলোমিটার রাঙ্গামাটি।
সুতরাং আমিও সেদিন সংসদে প্রস্তাব দিলাম চার লেইনের সড়কটি রাউজানের ঢালাইমুখ পর্যন্ত বন্ধ না হয়ে এটা রাঙ্গামাটির প্রবেশমুখ পর্যন্ত আসুক। রাঙ্গামাটি পর্যন্ত চার লেইন সড়ক নিয়ে সংসদে বক্তব্য দেয়ার পর আমাদের অনেক বন্ধু বিষয়টি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করছেন। আমি শুনেছি অনেকেই বলেছেন, চার লেইন সড়ক যদি শহর হয়ে বনরূপা, রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি পর্যন্ত যায়, তাহলে সড়কের পাশে পাশে দোকানপাট তো একটাও থাকবে না। সব চার লেইন সড়কের বিলীন হয়ে যাবে। বিরোধিতা থেকে সবকিছুতেই সমালোচনা করা তাদের নিত্যনিদের স্বভাব।
তবে এখানে মনে রাখা দরকার অনেক বছর আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়ক ৩০ ফুট প্রসস্থ করার জন্য সড়কের পাশে খুটি গাড়তে শুরু করলো। আমরা চিন্তু করলাম যে ৩০ফুট প্রসস্থ করা হলে সড়কের পাশে পাশে দোকানগুলো থাকছে না, এইসব দোকান সব খাদে চলে যাচ্ছে। এসময় আমরাই প্রতিবাদ করেছি যে, না এটা হবে না। এটা হয় নাই। তাই যারা চাইছে সড়ক যদি প্রসস্থ করা হয় তাহলে দোকানপাট উঠে যাবে, ব্যবস্থা বানিজ্য লাটে উঠবে। তাহলে তারা কি করে আমরা চার লেইনের সড়ক একেবারে ডিসি বাংলো পর্যন্ত নেবো?
আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, চার লেইন সড়কটি রাঙ্গামাটি শহরের প্রবেশ মুখ পর্যন্ত এসে থেমে যাবে। শহরের ভেতরে চার লেইন করার কোনও কথা হয়নি। শহরের প্রবেশমুখে বাস, ট্রাক টার্মিনাল হবে। সেখান থেকেই সবাই শহরের ভেতর আসা-যাওয়া হবে। যেমনি সড়ক আছে তেমনী থাকবে। শুধু এইসব সড়কগুলো যাতে আরো সুন্দর ভাবে সংস্কার করা যায়। আর পৃথিবীর কোন শহরের অভ্যন্তরে বাস টার্মিনাল ও ট্রাক টার্মিনাল নাই। শুরু আমাদের এই রাঙ্গামাটি শহরের আছে। তাই এই ধরনের বিভ্রান্তির কোনও সুযোগ নাই বলে জানান দীপংকর তালুকদার এমপি।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩টায় রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্স এর সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিকতার পথিকৃত ও চারণ সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ গুণীজন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম নিজামী, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মীর মোদ্্দাছ্্ছের হোসেন, সাবেক মহিলা এমপি ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান, চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি ওয়াদুদ, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জিতেন বড়ুয়া, বিটিভি লোক লোকালয় অনুষ্ঠানের সংগঠক-গবেষক ও দৈনিক অরণ্য বার্তার সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমান, সুর নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা মনোজ বাহাদুরসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক।
গুনী সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন, সাংবাদিকতার পথিকৃত ও চারণ সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ, প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য ও কেডিএস গার্মেন্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান, প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য ও সাবেক রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রয়াত পারিজাত কুসুম চাকমা (মরণোত্তর), প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য ও দৈনিক আজাদীর সাবেক চীফ রিপোর্টার মরহুম সাংবাদিক ওবায়দুল হক (মরেণোত্তর) ও প্রেস ক্লাবের শুভাকাঙ্খী ও সাবেক রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা।
আলোচনা সভা শেষে গুণিজনদের হাতে সম্মানা ক্রেস্ট তুলে দেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি।