“চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ রক্ষা” পরিষদের নিয়মিত মাসিক সভায় সম্মানিত সভাপতি আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ এর সাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজদৌল্লাহ শিরুর সঞ্চালনায় সংগঠনের কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নি¤œলিখিত বিষয়ের উপর আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
১। পলিথিন ও প্লাস্টিক বোতলের যত্রতত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক; এখানে উল্লেখ্য যে, পলিথিন ও প্লাস্টিক বোতলের যত্রতত্র ব্যবহারের কারণে ব্যবহারকারী জনগণের অসচেনতার কারণে নির্দিষ্ট জায়গায় না ফেলে যত্রতত্র স্থানে ফেলে রাখতে নালা/নর্দমায় খালে এমনকি সমুদ্রে গিয়ে এই বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশন সহ বাঁধা বিপত্তি ঘটিয়ে রাস্তা/ঘাট নগরীর বাড়ী ঘর দোকানসমূহে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত করিতেছে। এই ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর সহ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন সমূহের প্রতি অত্র সংগঠনের পক্ষ হইতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ ও আবেদন জানানো হচ্ছে।
২। সবুজায়ন, সবুজ বিপ্লব, গ্রীন সেইভ ও বন সংরক্ষন সংক্রান্ত আলোচনায় অত্র সংগঠনের কর্মকর্তাগণ এই মর্মে বক্তব্য রাখেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বার বার নির্দেশনা এই যে, কোন স্থানে ১ ইঞ্চি জায়গা খালি রাখা যাবে না। যেখানে ফসলের মাঠ সেখানে ফসল ফলাতে হবে এবং যেখান বনায়ন সেখানে বনজ/ফলজ/ঔষধি গাছ যেন লাগানো হয়। বাস্তবে দেখা যায় তার উল্টো। যেমন: এই বর্ষাতে তেমন বনায়ন ক্ষেত্রে সামাজিক বনায়নের বিস্তারিত লাভ করে নাই। তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চল; রাঙামাটি/ খাগড়াছড়ি বান্দরবান আলীকদম/ নাইক্ষ্যংছড়িসহ বিভিন্ন স্থান হইতে ২ টন/৩ টন পিকআপ করে সেগুন/চম্পাফুল/গর্জনসহ অনুমোদন বিহীন কাঠ সমূহ নগরীর বলীর হাট (বহদ্দারহাট), ফিরিঙ্গী বাজার (চেয়ারম্যান ঘাট) হালিশহর, পাহাড়তলী কালুরঘাট (মোহরা) ইত্যাদি স্থানে মজুদ হয়। সেখান হইতে “স”মিল ব্যবসায়ীরা এই সব কাঠ চিড়াই করে দরজা/চৌকাঠ/ফার্নিচার তৈরীর মাধ্যমে এই সব কাঠ পাচার হচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, এই সব স্থানে বনবিভাগ সরজমিনে তদন্ত করিলে দেখা যাবে ব্যাঙের ছাতারমত চৌকাঠ দরজা ফার্নিচার ফ্যাক্টরি/কারখানা চালু হয়েছে। এই সব কারখানা সমূহে বনবিভাগ তল্লাশি চালালে হাজার হাজার ঘনফুট চিড়াই কাঠ উদ্ধার করতে পারবে বলে বক্তাদের অভিমত। তাছাড়া যে কোন “স”মিলে কাঠ চিড়াতে হলে চিড়াই কাঠের অনুমতি নিতে হয় বন বিভাগ কর্তৃক। এই অনুমতি নিতে হলে কাঠের উৎসের পারমিট ও ট্রানজিট পাস (টি.পি) থাকতে হয়। তাই বন বিভাগের শহর রেঞ্জের কর্মকর্তাদের প্রতি আবেদন যেন এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অন্যথায় বন পরিবেশ নষ্ট হবে বলে সংগঠনের কর্মকর্তাদের ধারনা। উপরের বিষয় সমূহের উপর বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি এন.আলম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সিরাজুল ইসলাম, ইয়াছিন চৌং, আকবর হোসেন প্রমুখ।
সভা শেষে সিদ্ধান্ত হয় যে, দুর্গাপূজা শেষে চট্টগ্রাম বন বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের সাথে সাক্ষাৎ করে এই বিষয়ে অবহিত করবেন এবং এইসব সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান বন সংরক্ষকের নিকট স্মারকলিপি আকারে আবেদন পেশ করা হইবে। পরিশেষে এই স্লোগানে উদ্ভুত হয় “হৃদয়কে ভালবাসুন, বন ও পরিবেশ রক্ষা করুন”।