চট্টগ্রাম ব্যুরো :: চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবরর্তী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা। প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন অন্তর্র্বতী কমিটির সদস্য সচিব দৈনিক আমার দেশের আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি। বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমদ, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রিদোয়োন সিদ্দিকী, আরিফ মঈনুদ্দিন, সাইফুর রুদ্র, পুষ্পিতা নাথ, নাফিজা সুলতানা অমিসহ অন্য সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা। সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রেসক্লাব অন্তর্র্বতী কমিটির সদস্য দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তাফা নঈম, অন্তবরর্তী কমিটির সদস্য গ্লোবাল টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান গোলাম মাওলা মুরাদ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, সিএমইউজে’র সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, একাত্তর টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান সাইফুল ইসলাম শিল্পী, শাহনেওয়াজ রিটন ও ওয়াহিদ জামান। মতবিনিময়কালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব অন্তবরর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। প্রেসক্লাবসহ গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এ বিষয়ে তিনি ছাত্র নেতৃত্বকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমদ বলেন, ছাত্র-জনতার অনেক রক্তের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্যাসিবাদের দোসরদের আর ফিরে আসতে দেওয়া হবে না। তাদের স্থান বীর চট্টলার প্রেসক্লাবে হবে না। যে সব সাংবাদিক নামধারী ফ্যাসিবাদের দোসরের ভূমিকায় ছিল তাদের প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কারের জন্য অন্তবরর্তী কমিটির প্রতি দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সংগতি রেখে প্রেসক্লাবের মিলনায়তনের নাম রাখার আহ্বানও জানান ছাত্র আন্দোলনের এই কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক।