প্রেস বিজ্ঞপ্তি : গতকাল (০৭.০৬.২০১৭) পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের অধিকার আদায়ের সংগঠন পার্বত্য গণ পরিষদ (চএচ) চট্টগ্রাম মহানগর শাখা ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার নিরীহ মোটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়নকে কতিপয় উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক নৃশংসভাবে হত্যা এবং এর জের ধরে উপজাতীয়দের ঘর বাড়ী পোড়ানোর মিথ্যা অভিযোগে নিরীহ লংগদুবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও নয়নের জানাযায় যাবার সময় উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক গুলি বর্ষন করে ৭ জন পার্বত্য বাঙালিকে আহত করার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য গণপরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহবায়ক মাস্টার নুরুল আলমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। পার্বত্য গণপরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার পার্বত্য বাঙালি ছাত্র ঐক্য পরিষদ পিবিসিওপি এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুন্না তালুকদার এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। প্রধানবক্তা, পিবিসিওপি কেন্দ্রীয় সভাপতি, আফছার হোসেন রনি, পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবদুল আউয়াল খান, বশির লিডার আইনজীবী নেতা এডভোকেট শিপন কুমার দে, এডভোকেট আবদুল আজিজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা, এ.এইচ.এম ফজলে রাব্বি সুজন, পরিষদের কেন্দ্রীয়, দপ্তর সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, পার্বত্য বাঙ্গালি ছাত্র ঐক্য পরিষদ (পিবিসিওপি) এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল হাসান সোহাগ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক হাফেজ শাহ মোঃ মিজানুর রহমান, পার্বত্য গণ শ্রমিক পরিষদ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন, গণ পরিষদ কেন্দ্রীয় নারী সম্পাদক আরজু নিলা, সহ সম্পাদক শাহেদা জান্নাত, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, নাসরিন জাহান, সহ সম্পাদক তানিয়া সায়মা, উক্ত সমাবেশে পিবিসিওপি চবি আহবায়ক প্রিয়তোষ, কাউখালী সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো শরীফ তহশীলদার সেক্রেটারী রবিউল পিবিসিওপি জেলা যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বেলাল, গণপরিষদ রাঙামাটি যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সেলিম, কাউখালী আহবায়ক মোঃ মইনুদ্দীন সদস্য সচিব মোঃ নাছির ফারুক, কাপ্তাই আহবায়ক আমির হোসেন আমু, পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান সচিব মোঃ আলমগীর বিশিষ্ট কবি ফরিদ মিল্লাত, কবি রেজাউল করিম, বিশিষ্ট লেখক সংগঠক এহসানুলক হক মিলন বিশিষ্ট ব্লগার এম এ আমিন, অধ্যাপক মাওলানা মোঃ ফোরকান আহমদ বিশিষ্ট লেখক মোঃ তারেকুল ইসলাম সাংবাদিক কামাল উদ্দিন, সাংবাদিক রাশেদুল মওলা ইঞ্জিনিয়ার সায়ফুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার সায়ফুল আলমসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ এতে বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক একের পর এক পার্বত্য বাসীকে হত্যা গুম খুন অপহরন করা হচ্ছে। কিনা মোহন চাকমা, বিশাখা চাকমা, আয়না চাকমা, মোহিনী ত্রিপুরা, নিরীহ মোটর সাইকেল চালক ছাদিকুল এবং সাম্প্রতিক সময়ে লংগদু উপজেলার নিরীহ মোটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়ন তাদের হত্যাকান্ডের শিকার। পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধু হত্যা, গুম খুনই নয়। চাঁদাবাজিতে পার্বত্য জনগণ অতিষ্ঠ। সামান্য মুরগীর ডিম থেকে শুরু করে যে কোন ফসলে, যে কোন গাড়ীতে, যেন কোন বেতনভোগী ব্যক্তিকে তাদের বেতনের টাকা কেটে চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। এ যেন মগের মুল্লুক শুধু তাই নয় পার্বত্য চুক্তির ফলে কাংখিত শান্তির বদলে পার্বত্য জনপদ হয়েছে এক ভয়াল জনপদ। পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত এখানে সকল সম্প্রদায়ের শিক্ষা, কর্মসংস্থান এমন কি ট্যাক্স প্রদানের বিষয়টি পর্যন্ত বৈষম্যমূলক। প্রধান অতিথি এসব বৈষম্য দূর করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
প্রধান অতিথি বলেন, পার্বত্য চুক্তির শর্ত মতে পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে সেনা প্রত্যাহার করার ফলে এখানকার জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। একের পর এক হত্যাকান্ড করে সন্ত্রাসীরা পার পেয়ে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে নুরুল ইসলাম নয়নকে নৃশংসভাবে হত্যা তার প্রমাণ। তিনি অভিযোগ করে বলেন। নয়ন হত্যার এতদিন পর নয়নের পরিবার এক টাকা সহায়তা প্রশাসনের কাছ থেকে পায়নি। উল্টো ঘর বাড়ী পোড়ানোর মামলা দিয়ে নয়নের প্রতিবেশী স্বজনদের লংগদুর নিরীহ জনগণকে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি প্রশাসনের প্রতি এসব বন্ধ করার জোর দাবী জানান। চবি ছাত্রনেতা এ.এইচ.এম ফজলে রাব্বী বলেন, সরকারের কাছে দাবী জানাই নয়নের হত্যাকারীদের দ্রুত যেন আইনের আওতায় আনা হোক, ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হোক তার পরিবারকে। অন্যান্য বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে মিডিয়া হলুদ সাংবাদিকতায় মেতেছে। কিছু জাতীয় পত্রিকা গাজীপুরের বয়লার বিষ্ফোরনের ছবি ব্যবহার করে লংগদুর ঘটনা দেখিয়েছেন। বক্তারা এসব জঘন্য মিথ্যাচার বন্ধে মিডিয়াকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
বক্তারা আরো বলেন, এসব হত্যা, গুম খুন বন্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামে কম্বিং অপারেশন চালাতে হবে। কারণ উপজাতীয় বাঙালি সকলেই শান্তি চান, সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই, কতিপয় সন্ত্রাসীদের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম অবরুদ্ধ থাকতে পারে না।
