কাউখালী ৩ নং ঘাগড়া ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সাথে মতবনিময়

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমান সরকার পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়নের মহা সড়কে পথ দেখিয়েছে। কিন্তু যারা পার্বত্য চুক্তিকে একটি কালো চুক্তি বলে আখ্যায়িত করে চুক্তি বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্থ করেছে সেই বিএনপির সাথে আঞ্চলিক দল গুলো আতাত করে আওয়ামলীগকে ধ্বংষের পায়তারায় নেমেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অসাম্প্রদায়িক চেতনার যে দৃঢ় প্রত্যয় নেতাকর্মীদের আছে সেই দলকে কেউ কখনোই নিশ্চিহ্ন করতে পারবেনা। তিনি বলেন, অস্ত্রে ভয় দেখিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদেরকে মিছিল মিটিংয়ে আসতে বাধা দিলেও তাদের মনথেকে আওয়ামীলীগকে মুছে ফেলা যাবেনা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গতকাল কাউখালী উপজেলা ৩ নং ঘাগড়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড নেতাকর্মীদের সাথে মতবনিময় কালে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এ কথা বলেন।
কাউখালী উপজেলা ৩ নং ঘাগড়া ইউনিয়নের সভাপতি রঞ্জন মনি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ আলী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস,এম চৌধুরী সহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
দীপংকর তালুকদার বলেন, পাহাড়ের রাজনীতি এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আঞ্চলিক দল গুলো যেভাবে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে তাতে করে সাধারণ মানুষ রাজনীতির নাম নিতেও ভয় পায়। বিশেষ করে পাহাড়ে বিএনপি, জামায়াত করলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আওয়ামীলীগের নাম নিলে সাধারণ মানুষের উপর খড়গ নিমে আসে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ কিভাবে আওয়ামীলীগকে ভালোবাসে তা দুর্গম পাহাড়ে গেলেই বোঝা যায়।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ ও নৌকাকে ভালোবাসে বলেই পাহাড়ের যে কোন উন্নয়নৈর জন্য তারা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের অতিথি করে নিয়ে যায় সম্মানিত করে। কিন্তু তারা সম্মান সংগ্রহ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ যতদিন থাকবে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবে। তাদের ভয়ভীতি উপেক্ষো করে দুর্গম পাহাড়ের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেত নেতার্মীদের আহবান জানান দীপংকর তালুকদার।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031