॥রাহুল বড়–য়া ছোটন,বান্দরবান ॥ শুধু ব্যাবসা করলে হবে না, সেবার মান ও আরো বাড়াতে হবে। রোগীরা সেবা নিতে এসে যাতে প্রতারিত না হয় আর সঠিক সেবা পেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠে তার জন্য সবাইকে নজর রাখতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বান্দরবানের ইমানুয়েল মেডিকেল সেন্টারের সম্প্রসারিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্টানে এমন মন্তব্য করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, স্বাস্থ্য সেবা যেখানে ভালো সেখানে রোগীরা এমনিতেই চলে আসবে, আর যাদের সেবার মান ভালো নয় সেখানে রোগীর উপস্থিতি কম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। প্রতিদিন অসংখ্য মেডিকেল সেন্টারসহ বিভিন্ন প্যাথলজী খুলছে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্টান, কিন্তুু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে যেসব প্রতিষ্টান রোগীদের সর্বোত্তম সেবা দিচ্ছে তারাই আজ সবার পরিচিত ও সকলের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়ে ওঠেছে। প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এসময় আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে পার্বত্য এলাকাসহ দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারিভাবে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। সরকারের এই সময়ে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামুল্যে রোগীদের প্রায় ৩২টি ঔষধ প্রদান করা হচ্ছে।
ইমানুয়েল মেডিকেল সেন্টারের চেয়ারম্যান লক্ষীপদ দাসের সভাপতিত্বে এসময় অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সেনা রিজিয়নের ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: যুবায়ের সালেহীন এসইউপি,এনডিইউ ,পিএসসি, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্য সা প্রু, সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সিভিল সার্জন ডা:অং সুই প্রু, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা: অংচালু, বান্দরবান সদর হাসপাতালের সাবেক আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সমীরণ নন্দী, সাবেক শিক্ষক দিপ্তী কুমার বড়–য়া, মেডিকেল সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক পারখুম লুসাই, পরিচালক ডা:জোতিময় ¤্রাে, ডা: প্রসেনজিৎ, ডা:সানাই প্রু ত্রিপুরা, ডা: প্রত্যুষপল ত্রিপুরা, ডা: জেমস ইটেন, সাদেক হোসেন চৌধুরী, আনিছুর রহমান সুজন, অর্পণ কুমার দাশ, প্রভাত কুমার বড়–য়া, প্রিয়তোষ দাশ জগন্নাথ, প্রতাপ বিশ্বাস, মো: সোলাইমান, আবুল খায়ের মিন্টু, এনামুল হক রিটন, আহসানুল হক ছোটন, সুমন দাশ সহ সরকারি বেসরকারী কার্যালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই বান্দরবানে রোগীদের উন্নত সেবা প্রদানের জন্য বান্দরবানের রাজার মাঠের পুলিশ প্লাজায় ১০টি আবাসিক কেবিনসহ আধুনিক মেডিকেল যন্ত্রপাতি নিয়ে যাত্রা শুরু করে ইমানুয়েল মেডিকেল সেন্টার। আর ২৬ ডিসেম্বর আবারো জমঁকালো অনুষ্টানের মধ্য দিয়ে মেডিকেল সেন্টারের ভবন সম্প্রসারণ ও ২০টি আবাসিক কেবিনসহ নিত্য নতুন ডায়গনিষ্টিক মেশিন ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে বান্দরবানবাসীকে আবারো আর উন্নত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ইমানুয়েল মেডিকেল সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদ।
