চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে আগ্রাবাদস্থ সিটি কনভেনশন হলে প্রস্তুতকৃত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা আইসোলেশন সেন্টার আগামী ১৫ জুন চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন। অপরাহ্নে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইসোলেশন সেন্টারটি চালু করণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন। এই সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমন পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌছেছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে চসিক আইসোলেশন সেন্টারের জন্য চিকিৎসক, নার্স, বয় নিয়োগসহ তাদের সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম সংযোজনের প্রস্তুতি সুসম্পন্ন করেছে। তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র লকডাউন দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না। যে হারে সংক্রমনের হার বাড়ছে তা মোকাবেলায় আক্রান্তরা যাতে চিকিৎসা সেবা পান তা নিশ্চিত করতে আরো বেশি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। এ ছাড়াও করোনা সনাক্তের জন্য কোথায় সহজে নমুনা পরীক্ষা সম্ভব এবং চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত তথ্যাবলী মানুষ যেন অবগত হতে পারে সেই ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকেও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিএমএ সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, আইটি অফিসার ইকবাল হাসান, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য গবেষক ডা. সুশান্ত বড়–য়া, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রীতি বড়–য়া, ডা. মোহাম্মদ আলী, ডা. রবিউল করিম, ডা. নাসিম ভূইয়া, চসিক তত্ত্¦াবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক ও আবু সাদাত মো. তৈয়ব প্রমুখ। এ ছাড়া আজ বিকেলে সিটি মেয়র আগ্রবাদস্থ সিটি কনভেনশন হলের প্রস্তাবিত ২৫০ শয্যার করোনা আইসোলেশন সেন্টারও পরিদর্শন করেন।
