কোর্ট রিপোর্টার :: যাত্রাবাড়ী মৌজাস্থি’ত একজন ভোক্তভুগী পরিবার এভাবেই এই প্রতিবেদককে বলেন যে – আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী মোসাঃ ফাতেমা আক্তার গং, পিতা- মৃত শামসুল হক, মাতা- মৃত রেজিয়া খাতুন, ঠিকানা- ৩২২, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। আমার মাতা ৩৩৯ যাত্রাবাড়ী মৌজাস্থি’ত গত ২৬/০২/১৯৬৬ ইং সনে ৩২০০ নং দলিল মূলে নালিশী সম্পত্তি ক্রয় করেন। যাহার সিএস দাগ নম্বর-৪৮৯, যাহার সিএস খতিয়ান নাম্বর- ২১, এসএ খতিয়ান নং- ৫৪, আরএস খতিয়ান নম্বর-১০৬৫, দাগ নম্বর- ১০৫৯, মহানগর খতিয়ান নং- ২৫৭০, মহানগর দাগ নং- ৪৯০৫, ৪৯০৬, পরিমাণ ১৪ শতাংশ। বিগত ০৮/০১/১৯৬৯ ইং তারিখে একটি হুকুম দখল/মাটি কেটে রাস্তা ভরাটের জন্য এ.ডি.সি.এল. এ কর্তৃক রিকোজিশনে নোটিশ পাই। অদ্যবদি ভূমি অধিগ্রহনের কোন গেজেট বিজ্ঞপ্তি ও হয় নাই। মর্মে সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে স্বারক নং- জে,প্র/মেমো-০৮/শাখা-০৪/২০০৩- ২২৫ নং পত্রের প্রদান করেন। পুলিশ হেড কোয়ার্টারস্ ঢাকা থেকেও স্বারক নং অপরাধ-১/৩১৬-২০০৩ (অংশ) ডিএমপি-৮৫/২২৩৬/১ তাং ০৩/০৭/২০০৪ ইং যাহার বিষয় ছিল ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে থানার বাউন্ডারী দেওয়াল না করা প্রসঙ্গে একটি পত্র প্রেরণ করে তাহাও অমান্য হয়। পরবর্তীতে আরও একটি স্বারক নং- অপরাধ ১/৪৭-২০০৪-(ডিএমপি-৫)-৩৩৮৫/১ তাং ০৭/০৯/২০০৪ প্রদান করে তাতেও কর্ণপাত না করিয়া থানার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা শুরু করে। পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্টের রীট পিটিশন নং- ৩৬২৬/২০০৫ ইং।
বিচারপতি জনাব খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি জনাব মাশুক হোসেন আহম্মদ সাহেবের আদালতে আদেশ হয় যে”, মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত তফসিলী সম্পত্তিতে কোন প্রকার হয়রানীমূলক কার্যক্রম পরিচালনা না করার জন্য। থানার ইনচার্জ তাহা অমান্য করিলে স্ব-রাষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক আইন শাখা ০৩ থেকে স্বারক নং- ৪৪.০০.০০০.০৫৭.০৪.২০৩-১৩-৬৫, তাং ০৬/১১/২০১৩, বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ঢাকাকে তদন্ত করার কথা বলে তাহাতেও কাজ না হওয়াতে আবার পুনরায় মহামান্য হাইকোর্ট রুল নিশী জারি করেন এবং জেলা প্রশাসক কর্তৃক একটি কলমি নকশা থানায় প্রেরণ করেন এবং হাইকোর্টের আদেশের বিজ্ঞপ্তি উক্ত নালিশী সম্পত্তিতে লাগানো অব¯’ায় তাহা পুলিশ কর্তৃক সাইনবোর্ডটি সরিয়ে দেওয়া হয় এবং নালিশী সম্পত্তির মালিকগণদের অযথা বারবার হয়রানী করে। গ্রেফতার ও নির্যাতন অব্যাহত রাখে।
উল্লেখ্য যে : সারা দেশের আদালতগুলোতে ৩৮ লাখের মতো মামলা বিচারাধীন। ‘রিট’ মামলা। বছরের পর বছর ঝুলে আছে এসব রিট। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ মামলার অধিকাংশ রায় উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনাগ্রহ ও উদাসীনতায়।
চলতি বছরের ৮ মে পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে ১১ হাজার ২০৭টি রিট করা হয়েছে। এর মধ্যে রুল জারি হয়েছে ৪ হাজার ৬০৯টির। ২০২০ সালে রিট হয়েছে ৩৬ হাজারের কিছু বেশি এবং এসব রিটের মধ্যে রুল জারি হয়েছে ১৬ হাজার ৩০৬টিতে। এছাড়া ২০১১৯ সালে প্রায় ৪০ হাজার রিটের বিপরীতে রুল জারি হয়েছে ২৬ হাজারটিতে। অর্থাৎ এফিডেভিট হওয়া রিটের একটি বিরাট অংশ হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়। যেসব রিটে রুল জারি হয় সেগুলোর বেশিরভাগেরইশেষ পরিণত কনটেম্পটে বা আদালত অবমাননায় গিয়ে দাঁড়ায় বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তারা জানান, রুল নিষ্পত্তি হলেও হাইকোর্টের সেই আদেশ বা রায় মানা হয় না। খবর বিজ্ঞপ্তি।
