উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার,৭ দশমিক ২ রিখটার স্কেলে
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেপে উঠলো
চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সহ দেশের বিভিন্ন জেলা
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
ছয় দশমিক ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাঙ্গামাটি সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা। গতকাল বুধবার রাত পৌনে ৮টার পর কিছু সময় ধরে রাঙ্গামাটিতে কম্পন অনুভূত থাকে। রাঙ্গামাটি শহরের বড় বড় ভবনগুলো দুলতে থাকলে মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ সংস্থার কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ গিরিদর্পণকে জানান, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২। রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে অনুভূত এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ঢাকা থেকে ৪২০ কিলোমিটার পূর্বে বলে জানান তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হানিফ বলেন, “এটা ছিল শক্তিশালী ভূমিকম্প। নিকট অতীতে আমাদের আশপাশে শুধু নেপালে এর চেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল।”
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউএসজিএসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ৬ দশমিক ৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎস ছিল বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১৩৪ কিলোমিটার গভীরে।
এ সময় রাঙ্গামাটি শহরের মানুষ আতংকে রাস্তায় বের হয়ে আসে। সকলেই নিজের আত্মরক্ষার জন্য দিকবেদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। এ সময় আতংকিত মানুষ জন সৃষ্টি কর্তাকে স্মরণ করে আযানের ধ্বনী দিতে থাকে এবং হিন্দু নারীরা উলুধ্বনী দিতে থাকে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি শহরের বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
রাঙ্গামাটি জেলা কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকায় একটি বাড়ীর দেয়া ধ্বসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কোন বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
একই সময় চট্টগ্রামসহ অন্য জেলাগুলো থেকেও কম্পনের খবর আসতে থাকে।
ভূমিকম্পে দুলতে থাকায় অনেক ভবন থেকে মানুষ আতঙ্কে নেমে এলেও তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
কাপ্তাই উপজেলায় গতকাল (১৩ এপ্রিল) রাত প্রায় ৭টা ৫৮ মিনিটের সময় ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্প ১০ সেন্ডেরও বেশি সময় হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ভূমিকম্পের আলামত বোঝার সাথে সাথে বহুতল ভবনের বাসিন্দারা হুড়োহুড়ি করে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। কেউ কেউ আল্লাহার রহমত কামনা করে আযান দিতে থাকেন। অনেকে দুরদুরান্তে থানা স্বজনদের খবর নেবার চেষ্টা করেন। তবে তাৎক্ষনিক মোবাইলের নেটওয়ার্কেও সমস্যা দেখা যায় বলে জানা গেছে। কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী পেপার মিল, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সর্বত্র মানুষের মাঝে ভূমিকম্পের আতঙ্ক বিরাজ করলেও কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
