একুয়েডরে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৬০০
শুক্রবারও দেশটিজুড়ে ডজনেরও বেশি পরাঘাত অনুভুত হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হলেও নতুন করে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
গেল শনিবার সন্ধ্যায় সাত দশমিক আট মাত্রার ওই ভূমিকম্পটি ছিল ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী। এতে এখনো ১৩০ জন নিখোঁজ আছেন, পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরো ১২ হাজার ৪৯২ জন।
ওই ভূমিকম্পের পর বৃহস্পতিবার রাতে উপকূলীয় শহর পের্তোভিয়েজো থেকে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে সাগরের ১০০ কিলোমিটার ভিতরে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে ৬ মাত্রার আর একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়।
এতে মাত্রই ভয়াবহ ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা থেকে বেঁচে ফেরা মানুষেরা ফের আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
শুক্রবার প্রকাশিত এক বুলেটিনে এসব হতাহতের এই সংখ্যা জানিয়েছে দেশটির জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
গুয়াকিলে পুনর্নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ৪৩ বছর বয়সী শ্রমিক অ্যালেক্স ব্যাচন বলেন, “পরশু রাতে এটা যখন শুরু হয় ভয়ে আমরা প্রার্থনা করতে শুরু করি। জীবনে এ ধরনের বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি।”
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ৭০টির বেশি পরাঘাত হয়েছে বলে দেশটির ভূতত্ত্ব ইনস্টিটিউট জানিয়েছে। শনিবারের ভূমিকম্পের পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত ৭০০ পরাঘাত হয়েছে।
দেশবাসীকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা রিকার্দো পেনাহেরেরা জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে এ ধরনের ছোট ছোট ভূমিকম্প চলতে থাকবে।
ভূমিকম্প দূর্গত এলাকাগুলোতে দুর্গতরা সরকার ও বিভিন্ন বিদেশি ত্রাণ সংস্থার মাধ্যমে খাবার, পানি ও ওষুধ পাচ্ছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের কারণে কিছু কিছু এলাকায় ত্রাণ পৌঁছতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া।
ভূমিকম্পে প্রায় সাত হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন।
দুর্গত এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪ হাজার নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন একটি লুটের ঘটনার পর এ ধরনের আর কোনো ঘটনাও দেশটিতে ঘটেনি।