আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পৃথক অভিযানে গাজীপুর ও টাঙ্গাইলে সন্দেহভাজন ১১ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এরমধ্যে গাজীপুরের দুই আস্তানায় ৯ জন ও টাঙ্গাইলে নিহত হয়েছে ২ জন।
শনিবার (০৮ অক্টোবর) পৃথক এ তিন অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাতারটেকের একটি দ্বিতল বাড়িতে নব্য জেএমবির ঢাকা বিভাগীয় কমান্ডার আকাশ তার সঙ্গীদের নিয়ে অবস্থান করছেন-এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ।
জেলা পুলিশ, পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট ও সোয়াট টিমের যৌথ দল এ অভিযানে অংশ নেয়।
সিটিটিসি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রথমে তাদের (জঙ্গি) আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু তারা তা না করে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও গ্রেনেড ছোড়েন। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি করে। বিকেল চারটার পর অভিযান শেষে ঘটনাস্থল থেকে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’এদিকে নিহতদের মধ্যে একজন জঙ্গি ফরিদুল আলম ওরফে আকাশও রয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
অভিযান শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, তামিম চৌধুরীর পর জঙ্গিদের যে নেতৃত্ব দিত, তাদের মধ্যে একজন জঙ্গি নেতা আকাশও রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (০৭ অক্টোবর) দিনগত রাতে গাজীপুর জেলার হারিনালের পশ্চিমপাড়ায় একটি বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ অভিযানে নিহত হয় দুই জঙ্গি। নিহতদের মরদেহ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বাংলানিউজকে জানান, মধ্যরাতে শুরু হওয়া এ অভিযান চলে বিকেল তিনটা পর্যন্ত।
অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলিও উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে টাঙ্গাইল সদরের কাগমারা এলাকার একটি বাড়িতেও অভিযান চালায় র্যাব। ওই জঙ্গি আস্তানাতেও ২ জঙ্গি নিহত হয়েছে।
র্যাবের মুফতি মাহমুদ খান জানান, আস্তানায় অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালালে ২ জঙ্গি নিহত হয়।
জঙ্গি আস্তানা থেকে নগদ টাকাসহ বেশ কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয় বলে জানান এই র্যাব।
