॥ কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই ॥ গত তিনদিন টানা ভারি ও হাল্কা বৃষ্টির কারণে কাপ্তাই লেকে পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। বৃষ্টির পাশাপাশি পাহাড়ি ঢল ও উজান থেকেও পানি কাপ্তাই লেকে এসে জমা হয়। এর ফলে লেকে পানি বিপদ সীমা ছুঁইছুঁই করছিল।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্ল্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী লেকে বর্তমানে (১৩ অক্টোবর) ১০৭.১০ মীন সি লেভেল (এমএসএল) পানি থাকার কথা। কিন্তু পানি রয়েছে ১০৮.৬৪ এমএসএল।
লেকে পানি বেশি থাকায় গত তিন দিন (১১, ১২ ও ১৩ অক্টোবর) লেকের ১৬টি গেট দিয়ে ৬ ইঞ্চি হারে পানি ছাড়া হয়। তবে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকাল ৪টার সময় লেক থেকে পানি ছাড়া বন্ধ করা হয়।
কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি জেনারেটরের মধ্যে বর্তমানে ৪টি উৎপাদনে রয়েছে। ৪টি জেনারেটর থেকে মোট ১৯২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে বলে প্রকৌশলী প্ল্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান।
কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় রাঙ্গামাটি শহরের এখনো অনেক এলাকা পানির নীচে তলিয়ে আছে। পানি বৃদ্ধির ফলে রাঙ্গামাটি শহরের পৌর কলোনী, তৈয়বিয়া পাহাড়, জালিয়া পাড়া, আসামবস্তী, গর্জনতলী, শান্তি নগর এলাকা সহ শহরের বেশ কিছু এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়ে আছে।
এদিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে রাঙ্গামাটি শহরের সিম্বলিক রাঙ্গামাটি পর্যটন ঝুলন্ত ব্রীজ পানির নীচে তালিয়ে থাকায় রাঙ্গামাটির পর্যটন ব্যবসায় ধ্বস নেমে এসেছে। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন কাছে দ্রুত পানি কমানোর জন্য আবেদন জানিয়েছেন রাঙ্গামাটির হোটেল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
