‘আমি মা’র কাছে যামু, আমাকে মেরোনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পৃথিবীর ইতিহাসে এক জঘন্যতম ঘটনা ও কলঙ্কজনক অধ্যায় ১৫ আগস্ট সংগঠিত শিশু শেখ রাসেল হত্যাকান্ড। শিশু শেখ রাসেল পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আকুতি জানালেও ঘাতক খুনি চক্ররা তাকে বাঁচতে দেয়নি। ঘাতকের নির্মমতার বুলেট ঝাজরা করে শিশু শেখ রাসেলের নিষ্পাপ দেহকে। ঘাতকের টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুকে বাঙালির ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিশ্চিন্ন করার। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে সে কাল রাতে নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করে খুনিরা। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের ৫২তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘আমি মা’র কাছে যামু, আমাকে মেরোনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিল ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার উদ্যোগে গত ২৯ অক্টোবর বিকাল ৫টায় নগরীর বৌদ্ধ মন্দির সড়কস্থ এ. কে. খান ফুলকী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের ৫২তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘আমি মা’র কাছে যামু, আমাকে মেরোনা’ শীর্ষক শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সংগঠনের সহ-সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন। প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে শিশু শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ডের মত জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড আর দ্বিতীয়টি নেই। শিশু শেখ রাসেল পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কাকুতি-মিনতি জানালেও ঘাতকের হৃদয় বিদ্ধ করেনি শেখ রাসেলের আকুতি। সভায় সামসুল আরেফিন আরো বলেন, শিশু শেখ রাসেল হত্যাকাণ্ডের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। তিনি আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি কবি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস লি. এর মহাব্যবস্থাপক এম. এ. সবুর, উদীচী কক্সবাজার জেলা সংসদের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সঞ্চয় কুমার দাশ, বৃহত্তর চট্টগ্রাম ডেন্টাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোঃ জামাল উদ্দিন, ক্যামব্রিজ কিন্ডার গার্টেন এন্ড হাই স্কুলের অধ্যক্ষ এম. বদিউল আলম। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়–য়া। সভায় বক্তারা বলেন, ইতিহাস কখনো জাতিকে ক্ষমা করে না। শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করে খুনিরা গণধিকৃত আজ বাঙালির ও সভ্যতার ইতিহাসে। জাতি আজীবন শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করবে নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকে। বক্তারা অবিলম্বে বিদেশে পলাতক শেখ রাসেল হত্যাকারী ঘাতকদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবী জানান। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স.ম. জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম লিয়াকত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চৌধুরী টাংকু, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সুমন দত্ত, সংগঠক দিলীপ সেনগুপ্ত, কবি জান্নাতুল ফেরদৌস সনি, মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, শ্রী ইমন রুদ্র ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন আদৃতা চৌধুরী, প্রিয়ন্তী ভট্টাচার্য্য, ইমা শীল, তন্নী চৌধুরী, প্রিয়ন্তী বড়–য়া, সাফিয়া আফরোজ, দ্বীপ বড়–য়া, কাব্য বড়–য়া, হারুন উর রশিদ, এম. জামাল উদ্দিন, সাদিয়া সুলতানা প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি শিশুদের মাঝে শেখ রাসেলের জীবনী, মেধাবৃত্তি ও কৃতিত্বের পুরস্কার বিতরণ করেন। ‘আমি মা’র কাছে যামু, আমাকে মেরোনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক
ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্ন করতে
শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করে ঘাতকরা
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পৃথিবীর ইতিহাসে এক জঘন্যতম ঘটনা ও কলঙ্কজনক অধ্যায় ১৫ আগস্ট সংগঠিত শিশু শেখ রাসেল হত্যাকান্ড। শিশু শেখ রাসেল পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আকুতি জানালেও ঘাতক খুনি চক্ররা তাকে বাঁচতে দেয়নি। ঘাতকের নির্মমতার বুলেট ঝাজরা করে শিশু শেখ রাসেলের নিষ্পাপ দেহকে। ঘাতকের টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুকে বাঙালির ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিশ্চিন্ন করার। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে সে কাল রাতে নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করে খুনিরা। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের ৫২তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘আমি মা’র কাছে যামু, আমাকে মেরোনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিল ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার উদ্যোগে গত ২৯ অক্টোবর বিকাল ৫টায় নগরীর বৌদ্ধ মন্দির সড়কস্থ এ. কে. খান ফুলকী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের ৫২তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘আমি মা’র কাছে যামু, আমাকে মেরোনা’ শীর্ষক শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সংগঠনের সহ-সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন। প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে শিশু শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ডের মত জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড আর দ্বিতীয়টি নেই। শিশু শেখ রাসেল পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কাকুতি-মিনতি জানালেও ঘাতকের হৃদয় বিদ্ধ করেনি শেখ রাসেলের আকুতি। সভায় সামসুল আরেফিন আরো বলেন, শিশু শেখ রাসেল হত্যাকাণ্ডের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। তিনি আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি কবি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস লি. এর মহাব্যবস্থাপক এম. এ. সবুর, উদীচী কক্সবাজার জেলা সংসদের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সঞ্চয় কুমার দাশ, বৃহত্তর চট্টগ্রাম ডেন্টাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোঃ জামাল উদ্দিন, ক্যামব্রিজ কিন্ডার গার্টেন এন্ড হাই স্কুলের অধ্যক্ষ এম. বদিউল আলম। অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়–য়া। সভায় বক্তারা বলেন, ইতিহাস কখনো জাতিকে ক্ষমা করে না। শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করে খুনিরা গণধিকৃত আজ বাঙালির ও সভ্যতার ইতিহাসে। জাতি আজীবন শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করবে নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকে। বক্তারা অবিলম্বে বিদেশে পলাতক শেখ রাসেল হত্যাকারী ঘাতকদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবী জানান। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স.ম. জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম লিয়াকত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চৌধুরী টাংকু, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সুমন দত্ত, সংগঠক দিলীপ সেনগুপ্ত, কবি জান্নাতুল ফেরদৌস সনি, মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, শ্রী ইমন রুদ্র ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন আদৃতা চৌধুরী, প্রিয়ন্তী ভট্টাচার্য্য, ইমা শীল, তন্নী চৌধুরী, প্রিয়ন্তী বড়–য়া, সাফিয়া আফরোজ, দ্বীপ বড়–য়া, কাব্য বড়–য়া, হারুন উর রশিদ, এম. জামাল উদ্দিন, সাদিয়া সুলতানা প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি শিশুদের মাঝে শেখ রাসেলের জীবনী, মেধাবৃত্তি ও কৃতিত্বের পুরস্কার বিতরণ করেন।
