॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য অঞ্চলে মানবসৃষ্ট দূর্যোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধে গড়ে তুলতে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, দুরছড়ি বাজারবাসীর উপর যখন মানবসৃষ্ট দূর্যোগ চলছে ঠিক তখনই প্রাকৃতিক দূর্যোগের দুরছড়ি বাজারের ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে গেছে। তিনি মানবসৃস্ট দূর্যোগ কারীদের তাদের কর্মকান্ড বন্ধ করার আহবান জানান।
গতকাল রাঙ্গামাটির দুরছড়ি বাজারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন কালে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার এ কথা বলেন।
দুরছড়ি বাজার ব্যবসায়ী খায়ের আহমেদ এর সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মুছা মাতব্বর, জেলা পরিষদ সদস্য ত্রিদীব কান্তি দাশ, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, আওয়ামীলীগ নেতা কেরল চাকমা, দুরছড়ি বাজার চৌধুরী নিন্দ্রা জয় চাকমা । স্বাগত বক্তব্য রাখেন,খেদারমারা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ পাল। সহ বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন ।
দীপংকর তালুকদার বলেন, দুরছড়ি বাজার একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার এই বাজারের ব্যবসায়ী ও বসবাসকারীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোন ভাবেই পুরণ করা সম্ভব নয়। আমরা যতটুকু পেরেছি যতসামান্য তা দিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এই দূর্যোগকে শক্তহাতে মোকাবেলা করে আগামী দিন গুলোতে নিজেদের প্রতিষ্ঠ করার আহবান জানান।
দুরছড়ি বাজারের অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন শেষে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব মন্দিরে ক্ষতিগ্রস্থ ৩ শতাধিক ব্যবসায়ীকে নগদ ১২ লক্ষ টাকা ও শীতবস্ত্র ও বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার ।
ক্ষতিগ্রস্থ তিন শতাধিক ব্যবসায়ী ও পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা। আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে একটি কম্বল, একটি লুঙ্গী, একটি শাড়ি সহ বিভিন্ন তৈজস পত্র প্রদান করা হয়।
