তেলের দাম কমবে : মুহিত
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জানুয়ারি মাসে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সম্ভাবনা খুবই বেশি। ডিসেম্বরে দিতে (কমাতে) চেয়েছিলাম, ডিসেম্বরে পারছি না সুতরাং এটা জানুয়ারিতে হবে।”
এর আগে ডিসেম্বরে তেলের দাম কমানোর কথা বললেও তা হচ্ছে না জানিয়ে মুহিত বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে হবে, কারণ ওটা তার মন্ত্রণালয়। … একটা প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিতে হবে সেটা এখনও দিতে পারিনি।”
বিশ্ববাজারে দুই বছর ধরে তেলের দরপতন চললেও ভর্তুকির লোকসান থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে তুলতে দীর্ঘদিন দাম অপরিবর্তিত রাখে সরকার।
এরপর চলতি বছর ২৪ এপ্রিল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪ শতাংশ এবং অকটেন ও পেট্রোলের দাম ১০ শতাংশের মতো কমানো হয়। তার কয়েকদিন আগে ফার্নেস অয়েলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “ক্যালেন্ডার বছরে (তেলের দাম) আমরা কিছুটা অ্যাডজাস্ট করেছি, অ্যান্ড দ্যাট ইজ গুড এনাফ। এটার জন্য এমন কোনো ওরিড না।
“কারণ ওটা করা হয়েছে প্রাইস বেইজড ৮০ ডলার (আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দর)। নতুন করে নির্ধারণ করতে হলে এটা ৬০ এর কাছাকাছি হবে। ৪০ এ নেমেছিল, এখন আবার উপরে উঠছে। আমার হিসাবে বেস্ট প্রাইস ৬০ এর কাছাকাছি হবে, এটা খুব এমন বড় কিছু না।”
আবার দাম কমানোর উদ্যোগের ব্যাখ্যায় মুহিত বলেন, “এটা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে লাভটা অর্থনীতির সবক্ষেত্রে ছড়িয়ে দেওয়া। যেখানে প্রত্যেকে তেলের দামে প্রভাবিত হয়, এজন্য তেলের দাম কমানোর সুপারিশ দিয়েছে।”
২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে রেকর্ডসংখ্যক কর্মী কাজ নিয়ে বিদেশে গেলেও রেমিটেন্স কমেছে। এজন্য অনেকেই দায়ী করছেন হুন্ডিকে। সরকার এক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে মুহিত বলেন, “এক্সচেইঞ্জ রেইটের কারণে হুন্ডি হয়, তবে এটা আর থাকবে না। … ইন্টারন্যাশনালিও অনেকটা ঝামেলা হয়েছে, ইউরোপের প্রবলেম…। এটা নিয়ে চিন্তা করার খুব বেশি কারণ নাই।
২০১৬ সাল দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো ছিল মন্তব্য করে মুহিত বলেন, দেশে শান্তি ছিল, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল, যা গুরুত্বপূর্ণ।
“তার ফল দেখতেই পারছেন। ইতোমধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ঘোষণা করেছেন। আমি আশা করি অনুমান সত্য হবে। আমার নিজের হিসেবে ৭ দশমিক ২, যেটা আমরা টার্গেট করেছি, দ্যাট ওয়াজ ভেরি কনজারভেটিভ, আর কনজারভেটিভ ইচ্ছা করেই করা হয়েছিল, সেটা সারপ্লাসড হবে। তাই এটা ভালো বছর। অর্থ বছরের ছয় মাস বাকি আছে, কিন্তু মরনিং সোজ দি ডে।”
৩০ কোটি টাকা লভ্যাংশ দিল সাধারণ বীমা
সাধারণ বীমা করপোরেশনের ২০১৫ সালের লভ্যাংশের ৩০ কোটি টাকার চেক এদিন অর্থমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান।
তিনি মন্ত্রীকে বলেন, “সামনের বছর সরকারকে আরও দিতে পারব বলে বলে পরিকল্পনা করছি।”
সাধারণ বীমা করপোরশন ২০১৪ সালে ২৫ কোটি টাকা লভ্যাংশ দিয়েছিল সরকারকে।
করপোরেশনের জিএম জ্যোৎস্না বিকাশ চাকমা, ডিজিএম জাকির হোসেন, ডিজিএম পারভীন সুলতানা ও ডিএম বিপ্লব কুমার দাস চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।