শিকল পরিয়ে নির্যাতন করতো উপজাতি সন্ত্রাসীরা
ধর্ম একই। তবে সম্প্রদায় ভিন্ন। কিন্তু পারিবারিকভাবে ছিলনা কোন সমস্যা। তবুও অন্য সম্প্রদায়ের ছেলেকে বিয়ে করার অপরাধে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় উপজাতিয় সন্ত্রাসীরা। গলায় ও পায়ে শিকল পরিয়ে দীর্ঘ ২মাস নির্যাতন করা হয়। এসব নির্যাতনে বর্ণনা দেন জোছনা চাকমা।
বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অপহৃত জোছনা চাকমা ও তার স্বামী অপু চন্দ্র সিংহ।
সংবাদ সম্মেলনে জোছনা চাকমা অভিযোগ করে বলেন, বিয়ে পর চট্টগ্রাম থেকে নিজের গ্রামের বাড়ী রাঙামাটির নানিয়ারচর নানাপুরণে স্বামী অপু চন্দ্র সিংহকে নিয়ে বেড়াতে এসে জোছনা চাকমা। এখবর পেয়ে তাদের বাড়িতে আসে ওই এলাকার এক নারী কার্বারী। তাঁর সাথে আসে ইউপিডিএফ সমর্থীত সংগঠন যুব পরিষদের ৪ কর্মীরা। কিছু না বলে এ দম্পত্তিকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় তারা। অধেক পথে স্বামী অপুকে ছেড়ে দিলেও ধরে নিয়ে যায় স্ত্রী জোছনাকে।
তিনি আরও বলেন, তাঁর অপরাধ ছিল চাকমা হয়ে কেন বড়–য়া ছেলেকে বিয়ে করলো। অপহরণের পর প্রথমে তাকে জীবপ তলী শরবিন্দু চাকমার বাড়িতে পরে ডলুছড়ি কালাবিচা, চংড়াছড়ি শান্তিময় চাকমা ও সুবলছড়ি আনন্দোমণির বাড়িতে রেখে নির্যাতন করা হয়। সেখানে অন্য চাকমা ছেলে সাথে বিয়ে করার জন্য জোড়পূর্বক তালাক নামায় স্বাক্ষর নেয় সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘ ২মাস বন্দি থাকার পর রাতের আধারে পালিয়ে জীবন রক্ষা করে জোছনা।
এব্যাপারে স্বামী অপু চন্দ্র সিংহ জানান, স্থানীয় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় স্ত্রী জোছনাকে কাছে ফিরে পেয়েছেন তিনি। কিন্তু ওই সন্ত্রাসীরা জোছনা চাকমার পরিবারকেও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এখন তার পরিবার নিরাপত্তাহীন।
অবিলম্বে প্রশাসনের কাছে চিহ্নিত অপহরণকারিদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেন ওই দম্পত্তি।
উল্লেখ্য, গত ২০১৬সালে ১৮ই নভেম্বর রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার নানাপুরণ গ্রামে নিজ বাড়ী থেকে অস্ত্রের মুখে জোসনা চাকমাকে তুলে নিয়ে যায় ইউপিডিএফ সমর্থীত সংগঠন যুব পরিষদ কর্মীরা।