দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ

জরুরি অবস্থার সময় দুদকের দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলায় আদালতে আত্মসমপর্ণ করে জামিন পেয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। একই মামলায় জামিন পেয়েছেন আরেক আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল আনোয়ার।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূরের আদালতে মন্ত্রীসহ দুই আসামি আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

আদালতে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলমসহ অন্যান্য আইনজীবিরা। দুদকের কৌঁসুলি ছিলেন কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু।

ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম মন্ত্রীর জামিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জামিনের পাশাপাশি আদালত মন্ত্রীকে মামলার ধার্য তারিখে হাজিরা থেকে অব্যাহতিও দিয়েছেন।

আদালত সুত্র জানায়, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারেও একই দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন। সেই সময়ে সরকারি জমি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন। ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মরহুম রফিকুল আনোয়ার ও তার ভাই হোটেল গোল্ডেন ইন লিমিটেডের পরিচালক ফখরুল আনোয়ারকেও এ মামলার আসামি করা হয়। জরুরি অবস্থা শেষে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফকে ওই দুর্নীতির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল হাইকোর্ট।

তবে হাইকোর্টের সেই আদেশ প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে টিকেনি। গত বছরের ৮ মে আপিল বিভাগের এই আদেশ আসার পর ওই দুর্নীতি মামলার তদন্ত আবারও শুরু করেছে দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মোশাররফ হোসেন নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় কার পার্কিংয়ের জন্য বরাদ্দ করা একটি জায়গা তিন তারকা হোটেল গোল্ডেন ইন নির্মাণের জন্য ইজারা দেওয়ার সুপারিশ করেন। ১ দশমিক ৪৪ বিঘা আয়তনের ওই জমির মূল্য ধরা হয় এক কোটি ৬৯ লাখ ২০৭ টাকা। পরে লিজের শর্ত ভেঙে মেসার্স সানমার হোটেল লিমিটেডের নামে ওই জমির ইজারা নিবন্ধন করা হয়।

এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত দরের চেয়ে সানমার হোটেলের কাছ থেকে ২ কোটি ৯২ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪৮ টাকা বেশি আদায় করা হয় বলে দুদকের এজাহারে বলা হয়। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ মামলাটি বাতিলের আবেদন করলে ২০০৮ সালে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করে।

২০১২ সালের ২০ নভেম্বর ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের বেঞ্চ মামলাটি বাতিল করে দেয়। পরে এর বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করে দুদক। সেই লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিলের আদেশ দেন।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031