(বনপা) চট্টগ্রামের উদ্যেগে সমুদ্র বন্দর সংস্কারপূর্বক আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশের নদ-নদী ও সমুদ্র-বন্দরের মূল সমস্যা নিজস্ব অর্থায়নে সমাধান সম্ভব

(বনপা) চট্টগ্রামের উদ্যেগে সমুদ্র বন্দর সংস্কারপূর্বক আলোচনা সভায় বক্তারা
বাংলাদেশের নদ-নদী ও সমুদ্র-বন্দরের
মূল সমস্যা নিজস্ব অর্থায়নে সমাধান সম্ভব

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ অনলাইন নিউজপোর্টাল এ্যাসোসিয়েশন (বনপা) চট্টগ্রামের উদ্যেগে বাংলাদেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদী ভাঙ্গন উপকূলীয় নিমজ্জিত ভূমি উত্তোলন, নৌ এবং সমুদ্র  বন্দর সংস্কারপূর্বক সম্প্রসারণে নতুন বন্দরের বাস্তবমুখী প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন কিভাবে সম্ভব  শীর্ষক আলোচনা সভায় নদী গবেষক ও প্রকল্প প্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল আলম একথা বলেন।
তিনি বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় চার (০৪) ফুট নিম্নে অবস্থানরত পলিসৃষ্ট, নরম মাটির দেশ, এই আমাদের বাংলাদেশ। গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত এখানে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেমন- খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং নদী ভাঙ্গনের কারণে এদেশের মানুষ সর্বদা দুঃখ-দুর্দশা, দারিদ্র্যতা ও দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে প্রতিনিয়তই জর্জরিত হয়ে চলেছে। এই সকল দূর্যোগের মোকাবেলায় তার সমস্যাগুলি নির্ধারণ করে আমাদের এই বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী “সোনার বাংলা”-য় রূপায়নের মানসে এই সমস্যাগুলি সমাধানকল্পে বিদেশী কোন পরামর্শ আমদানী না করে আমাদেরকে আমাদের মতো করে চিন্তা করে বাস্তবায়িত করতে হবে।
তাহার নিজস্ব প্রণিত পরিকল্পনাকে ৬টি প্রকল্পে বিভক্ত করে সংক্ষিপ্তরূপে তার বিবরণ তুলে  ধরেন- প্রকল্পগুলি হলঃ-
১)    বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প পরিকল্পনা,
২)    নঙ্গর বাঁধের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধ প্রকল্প পরিকল্পনা,
৩)    নঙ্গর বাঁধের মাধ্যমে মোহনা সংরক্ষণ ও উপকূলীয় দ্বীপ-চর সংযোজনে নিমজ্জিত ভূমি উত্তোলন বা জাগরণ প্রকল্প পরিকল্পনা,
৪)    কর্ণফুলী নদী ব্যবস্থাপনা ও নৌ বন্দর সম্প্রসারণে এক হাজার (১০০০) হতে দুই হাজার (২০০০) -এর অধিক ছোট নৌযান সংরক্ষণ প্রকল্প পরিকল্পনা,
৫)    “বন্দর মুজিব” নামালংকৃত একটি নতুন বন্দর নির্মাণ প্রকল্প পরিকল্পনা,
৬)    হরিণঘাটা নদীকে পদ্মা ও তিস্তা নদী সংযোগে কয়েকটি নতুন নৌ বন্দর প্রকল্প পরিকল্পনা।
তিনি বলেন, “ এই পরিকল্পনায় সমগ্র বাংলাদেশের – (ক) বন্যা নিয়ন্ত্রণ, (খ) নদী ভাঙ্গন রোধ, (গ) নদী সংযোগ ও ভূমি উত্তোলন একই সূত্রে গাঁথা, একটি আরেকটির সম্পূরক হয়ে একই কর্মসূচীর মাধ্যমে উক্ত তিনটি সমস্যার সমাধান সাফল্যের সাথে নিজস্ব অর্থায়ন এবং নিজস্ব শক্তি ও মেধায় করা সম্ভব, এর জন্য বিদেশী কোন সাহয্য বা পরামর্শ আশা করি প্রয়োজন পড়বে না।”
আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, প্রটেক্টটেড এরিয়া প্লেনার-পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ প্লেনার ড.আনিসুজ্জমান খান।
তিনি বলেন নদী ভাঙ্গন রোধে সময় এসেছে যথাযত উদ্যেগ নেওয়ার। এবং জনাব মনিরুল আলমের দেখানো পথ বিবেচনা করা উচিত যথাযথ কর্তৃপক্ষের।
তিনি নদী ভাঙ্গন রোধে বিভিন্ন বাস্তবমুখি পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য যথাযথ   কর্তৃপক্ষের নিকট উদ্ধার্থ আহবান জানান। এবং বনপার উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়ে  বলেন, দেশীয় প্রয়োজনে বনপার এই উদ্যেগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
অপর আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া।
তিনি বলেন, আমাদের দেশ নদী মাতৃক দেশ, দেশ বাচাঁতে হলে নদীকে বাঁচাতে হবে। তিনি চট্টগ্রাম প্রসংগ টেনে বলেন, হালদা নদী রক্ষা করতে হলে কর্ণফুলি নদীর যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে। কর্ণফুলি রক্ষা করতে পারলেই বাকী শাখা প্রশাখা নদী বাচঁবে। তিনি সরকারের প্রতি কর্ণফুলি এবং হালদা রক্ষা করার বাস্তবমুখি পরিকল্পনা নেওয়ার আহবান জানান।
সাংবাদিক ইউনিউনের সাবেক সভাপতি জনাব এজাজ ইউছুপি নদীর বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি রোধ করে সঠিক ও সচ্চতা আনার পরামর্শ দেন এবং মিডিয়ার প্রতি আহবান জানান নদী রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার। এবং বনপাকে ধন্যবাদ জানান জাতীয় একটি ইস্যুতে আলোচনা সভার আয়োজন করায়।
এতে অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিয়ার মাহবুবল হক এটলি, সাধারণ সম্পাদক- শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর। বনপা চট্টগ্রামের সম্মানিত উপদেষ্ঠা জনাব স্বপন মজুমদার,সভাপতি জনাব হাদিদুর রহমান, সহ-সভাপতি আবু হাসনাত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এম.কে মোমিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, ফরহাদ আমিন মোহাম্মদ ফয়সল, অর্থসম্পাদক মীর মেজবাহ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শামশুল করিম লাভলু প্রমুখ।  প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031